সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন
শামীম আহমেদ ঃ
কখনো তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্রধান নির্বাহী আবার
কখনো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
এমনকি বরিশাল সিটি
করপোরেশনের গাড়ি ব্যবহার করে ঘুরতেন নগরীতে।
সাথে থাকতেন সিটি করপোরেশনের
কর্মকর্তারাও।
নাম শাকিল আহম্মেদ। তার কথাবার্তা আর গাম্ভীর্য দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি
আসলে একজন দক্ষ প্রতারক।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী, সিটি করপোরেশনের
স্টাফসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে এসব পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ৫০ লাখেরও বেশি
টাকা।
অবশেষে কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলার সূত্রধরে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা
শাখার (ডিবি) ইন্সপেক্টর ছগির হোসেন প্রযুক্তির মাধ্যমে সাকিলকে গত ৩০ এপ্রিল
ঢাকার মিরপুরের কাফরুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছেন।
এ সময় তার কাছ থেকে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পারসোনাল অফিসারের একটি ভুয়া আইডিকার্ডসহ
বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের আইডি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (১ মে) দুপুরে মহানগর পুলিশের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
জানিয়েছেন উপ-কমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার। প্রতারক শাকিল আহম্মেদ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদের
ছেলে।
শাকিলকে গ্রেপ্তারের পরপরই বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতারনার শিকার
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা এই
প্রতারককে লোক সংগ্রহ করে দিতেন। এমনকি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করাতে সিটি
করপোরেশনের গাড়ি ব্যবহার করে শাকিল আহম্মেদকে বিভিন্নস্থানে নিয়ে যেতেন।
প্রতারণার শিকার কবির হোসেন সোহেল বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনে সাবেক
প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস আমাকে নিয়ে শাকিল আহম্মেদের সাথে
পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
এরপর বিভিন্ন অযুহাতে শাকিল আমার কাছ থেকে আড়াই লাখ
টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে স্বপন কুমার দাস ও সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা
ডাঃ খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম শুভর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা
হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার
জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, প্রতারনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।